কে কোথায় আছে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীরা?

দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই। আবার কেউ কেউ পালাতে গিয়ে সীমান্ত ধরাও পড়েছে, আবার কেউ সীমান্ত পার হতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,
গত সপ্তাহের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক স্থায়ী সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল),
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক আলাউদ্দিন আহম্মেদ নাসিম, ও আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সহ আরো অনেকে,
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাবেক মন্ত্রী সম রেজাউল করিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আরো বেশ কয়েকজন নেতারা দেশ ছাড়ার গুঞ্জন রয়েছে তবে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি

অনেকেরই ধারণা শেখ হাসিনা পালানোর পর ওবায়দুল কাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নেন পরেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান ওবায়দুল কাদের এখন দুবাই আছেন।

শেখ হাসিনা নিকটবর্তী আত্মীয় সাবেক সন্তোষ সংসদ সদস্যের মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে সে ফারহান নাচে তন্ময়, হেলালের ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এবং আবুল হাসান আব্দুল্লাহর ছেলে ও বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এখনো দেশ ছাড়া আর সুযোগ পায়নি তারা দেশের ভেতরে আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

শেখ হাসিনার আত্মীয় বরিশাল এর আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ কিছুদিন আগেই ভারত চলে যান, আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গত ৩ আগস্ট রাতে অজানা কারনে পরিবারসহ দেশ ছেড়ে পালান,

সাবেক অর্থমন্ত্রী আসামও মোস্তফা কামাল আন্দোলনের সময় পরিবার সহ সিঙ্গাপুরে চলে যান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নুরুল হামিদ দিপু অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।তবে তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমানের রহমান অবশ্য সরকার পতনের পর শুরুতেই আশ্চর্য ভাবে গ্রেফতার হয়েছে। বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা কালে গ্রেফতার হয়েছে সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৩০ জন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী অংশক সদস্য ও নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,
অবৈধ পথে দেশ ছাড়াই ইমিগ্রেশন বিভাগের নদীতে তাদের দেশটাকে তথ্য নেই, এর বাইরে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন দেশ ছাড়ার খবর জানা গেছে তবে দেশ ছেড়ে পালানো ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা কয়েকশত হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আরো যেসব নেতার দেশত্যাগের খবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শফিউল আলম চৌধুরী নানেদ।
দলের দপ্তর সম্পাদক ও শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্ট্রি দাস ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি এছাড়াও সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার এবং ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ তালিকায় আরো অনেকের নাম জানা গেছে,
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পিরজপুএর লিয়াকত শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন নিখিল ছত্র নেতা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন প্রমুখ।

যশোর অঞ্চল লালমনিরহাট সহ উত্তরাঞ্চলে ও সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে দেশ ছাড়ার প্রবণতা বেশি এর জন্য জনপ্রতীপ পঞ্চাশ হাজার থেকে ২৫- ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে হয় সীমান্তের দুই পাশে দালালদের দিয়ে পার হচ্ছে।

Leave a Comment