তাহলে শেখ হাসিনার পতনের কারোন, আমেরিকার নীল নকশা?

শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দেশে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র বিপ্লবের পর তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনা বারবার দাবি করেছেন যে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলেছে, তারা কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তাদের মতে,
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদ্রোহের ফলে হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সানডে গার্ডিয়ান একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা যোগ করেছে নতুন মাত্রা

তারা উল্লেখ করেছে যে কিছু নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের শুরু থেকেই হাসিনাকে অপসারণের পরিকল্পনা করছে। এসব নথির ভিত্তিতে বলা হয়, মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত কিছু সংস্থা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে।

নথিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পাঁচজন কর্মকর্তা এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের তিনজন কর্মকর্তা, ইউএসএআইডির দুই কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে প্রাথমিক পরিচিতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সানডে গার্ডিয়ান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধানকারী সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ক্রিস মারফি (ডি-সিটি), এসএফআরসি (দক্ষিণ এশিয়া উপকমিটি), সুমনা গুহ (দক্ষিণ এশিয়া ডিরেক্টর, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ), ডোনাল্ড লু (স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইনকামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি), সারাহ মার্গন (ডিআরএল, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইনকামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি) এবং ফ্রান্সিসকো বেনকোসমে (স্টেট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টা) উল্লেখ করা হয়েছে।

এই পুরো প্রকল্পটি ঢাকার শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী নাগরিককে সরাসরি প্রভাবিত করেছে।

Leave a Comment