স্টিফেন হকিং পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে যে ৬ টি ভবিষ্যতবাণী করেছে

পৃথিবীতে জনসংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে এবং এবং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন  হবে, তাতে পুরো পৃথিবী পুড়ে একটি আগুনের গোলায় পরিণত হবে।  চীনের বেইজিংয়ে টেনসেন্ট উই সামিটে তিনি এ তথ্য দেন। এই সম্মেলনে বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের ধারণা উপস্থাপনা করেন। হকিং বলেন, ২৬০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।  তাদের যে পরিমাণে  বিদ্যুৎ লাগবে, এতে পৃথিবী লাল গোলা হয়ে যাবে।

টার্মিনেটর’ চলচ্চিত্রটি দেখেছেন নিশ্চয়ই? এ বছরেই অধ্যাপক হকিং কৃত্রিম বুদ্ধিমানেরা মানুষকে হটিয়ে দেবে—এমন আশঙ্কার কথা বলেছিলেন। উইয়ার্ড ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে  যেমন আমাদের সামনে  এগিয়ে যাওয়া উচিত, তেমনি আমাদের মনে রাখতে হবে যে তারা হবে বিপজ্জনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভয় হচ্ছে,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  সত্যিই মানুষকে হটিয়ে দেবে। কম্পিউটারের ভাইরাস যদি মানুষ তৈরি করতে পারে , কেউ হয়তো এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে বসবে, সে হয়তো এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারবে না। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষকে ছাড়িয়ে যাবে।

বর্তমানে বিশ্বের অনেকগুলো ক্ষমতাধর দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যেকোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।  বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানুষের ভেতর আগ্রাসন ও লোভ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষ কমার কোনো লক্ষণ  নেই । সমরাস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম পৃথিবীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখতে হলে মহাকাশে স্বাধীন কলোনি স্থাপন করতে হবে।

পৃথিবীতে মানুষের বিলুপ্তি ঠেকাতে হলে  প্রযুক্তি সক্ষমতার সন্ধান করতে হবে। বিশেষ করে অন্য গ্রহে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন, অধিক জনসংখ্যা ও মহামারিতে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

জলবায়ু শম্মেলন গিয়ে হকিং বলেন জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ট্রাম্প আমাদের এ সুন্দর পৃথিবীটার পরিবেশের ক্ষতি করছে, আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও শিশুদের ধ্বংসের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

Leave a Comment