রাসেল ভাইপার সাপের মতো আতঙ্কে নিধন হচ্ছে শামুকও

সম্পতি বাংলাদেশের বিভিন্নো অঞ্চলে দেখা জাচ্ছে এক ধরনের স্থলচর শামুক, এর নাম আফ্রিকান জায়েন্ট শামুক।শামুকটি দেশের সর্বত্র এই শামুকটি কমবেসি দেখাজাচ্ছে।ছড়িয়ে পড়ছে নানান রকম গুজব। 
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের খারাপের চেয়ে ভালো গুণ অনেক বেশি।

আফ্রিকান শামুকের বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন অধ্যাপক ড. এম এ সালাম। তিনি বলেন, এ শামুক মোটেও ক্ষতিকর নয়। বরং পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্যের জন্য সহায়ক। এ শামুকের মাংস খুবই মূল্যবান, মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বিশ্বের অনেক দেশে এর লালা থেকে তৈরি পাউডার উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। আফ্রিকায় এ শামুকের খামার রয়েছে।

আমাদের দেশে এটি হতে পারে লাভজনক বাণিজ্য খাত। কাজেই গুজবে কান দিয়ে এগুলো ধ্বংস করা যাবে না।পরিকল্পিতভাবে এগুলোর চাষাবাদ বাড়ানো দরকার। এ অবস্থায় আফ্রিকান শামুক ধ্বংস না করেও বাগান কিংবা গাছপালা রক্ষা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে বন ও কৃষি বিভাগকে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভূমিকা রাখা জরুরি।

কিন্তু কিশোরগঞ্জে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এ ধরনের স্থলচর শামুক। কৃষি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর-এমন গুজব ছড়িয়ে নির্বিচারে মারা হচ্ছে আফ্রিকান জায়ান্ট নামে পরিচিত এই শামুক। এমনকি কৃষি বিভাগও পরামর্শ দিচ্ছে শামুকটি মেরে ফেলার।

সাধারণ মানুষের মতে সামুকটি দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে, রাতের বেলা বের হওয়ায় এবং খেতের ফসলের ক্ষতি করে, ঘরের দেওয়ালের সাথে লেগে থাকে,বাসাবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এগুলো।হানা দেয় বাসাবাড়ি, দালানকোঠা, বাগান ও ক্ষেতখামারে।

Leave a Comment