রাখাইনে সংঘাত এখন সেন্টমার্টিন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি এএ সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত আছে বেশ কিছু মাস ধরে। রাখাইন রাজ্যের এ অশান্ত পরিস্থিতির শেষ হওয়ার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধের কারণে গোলাগুলি ও বিস্ফোরক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা পরে হতাহতোর ঘটোনা ঘটেছে ইতি পুরবে।সীমান্তবর্তী জনপদে অনেক দিন ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং এলাকার জনগণ আতঙ্কে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।
মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে অপারেশন পরিচালনা করছে। এবং মিয়ানমারের দিকে এ এ এর অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবার্ষন করছে। একই সঙ্গে এ এ ও মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর জাহাজ ও বোট লক্ষ্য করে গোলাকর্ষণ করছে। 
এমতাবস্থায় গত পাঁচই জুন সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা একটি টলারে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হয় এদের ট্রালারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
এরপরে বন্যবাহী ট্রলারেও গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কারণে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ দশ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন থাকে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াত, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে বসবাসরত প্রায় দশ হাজার মানুষ নিরাপত্তাহীনতার সহ খাদ্য সংকটে পড়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলেদের মাছ ধরা। দ্বীপে অন্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরের এই নওজান গুলিতে কারা গুলি করেছে তাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং মিয়ানমার সরকার গুলি করার ব্যাপারটি অস্বীকার করছে। এ ঘটনায় এ এ এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরস্পরকে দায়ী করছে। বোঝাই যাচ্ছে আতঙ্ক ছড়াণের জন্য এইসব করা হচ্ছে কারণ নৌজান গুলোতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু করে গোলা গুলির ঘটনা ঘটে।  গত ১৫ ই জুন নাক নদীর মিয়ানমারের  অংশ থেকে যুদ্ধজাহাজ গুলো গভীর সাগরের দিকে সরে যায় এবং বাংলাদেশের নৌবাহিনী বাংলাদেশ জলসীমায় টহল শুরু করে। এরপর থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের সাথে যাতায়াত শুরু হয় এখন কোন সমস্যা হচ্ছে না। 

এই ঘটনার পরে সেন্ট মার্টিন বাসিত খাদ্য সমস্যা ও আতঙ্কে ভুগছে, পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ওখানকার মানুষের মাঝে  সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। 
বাংলাদেশের নৌজন লক্ষ্য করে মিয়ানমারের দিক থেকে চালানো গুলির ঘটনায় সেন্ট মার্টিনে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সমস্যা ও ভয় এখনো পুরোপুরি কাটেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও এ ব্যাপারে প্রস্তুত আছে এবং পরিস্থিতি খারাপ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। সেন্টমার্টিন আক্রান্ত হলে সে আক্রমণের জবাব দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। বাংলাদেশের সীমান্তে বর্ডার গার্ড ও কোচ গার্ড আছে। তারা পুরা সীমান্ত এলাকা তদরদী করছে এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। শুধু সেনাবাহিনী নয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ও প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রে কোষগারড ও বিজিবি তাদের দাইত্ব পালোন করছে।

Leave a Comment